Beta

পরবর্তী লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি: সজীব ওয়াজেদ জয়

জনগণের ভোটে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গড়ে তোলা হবে ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’। এমন লক্ষ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘তখন দেশের প্রতিটি মানুষের ব্যাংক হিসাব থাকবে। কিন্তু ক্যাশলেস ব্যাংকিং করবে সবাই।’

রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে রোববার ইন্টারঅপারেবল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

‘বিনিময়’ হলো ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপির মধ্যে আন্তলেনদেন নিষ্পত্তির সুযোগ দিতে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। এই সেবার মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে বিকাশ থেকে রকেটে অথবা রকেট থেকে এমক্যাশ বা বিকাশে কিংবা ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন করা যাবে।

এতদিন শুধু বিকাশ দিয়ে বিকাশে বা রকেট দিয়ে রকেটে টাকা পাঠানো যেত। এখন যেকোনো অপারেটরে টাকা পাঠানো যাবে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন,‘জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসতে পারল আগামী টার্মের মধ্যেই ক্যাশলেস সোসাইটি গড়বে বাংলাদেশ। এখনও দেশের ৫/৬ কোটি মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। আগামীতে সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে এবং তারা ক্যাশলেস ব্যাংকিং করবে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশকে ডিজিটাল করার পরিকল্পনা ছিল। তখন এদেশে ডিজিটালের কিছুই ছিল না।

‘বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য দাতারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করতে চেয়েছিল, তবে জটিলতার কারণে বাংলাদেশ সে পথে যায়নি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজেরা করেছি। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিটি পদক্ষেপই বাংলাদেশের নিজের। কোনো বিদেশি দাতা সংস্থার নয়।’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইন্টারনেট ছিল। নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্টাকচার করা ছিল আমাদের প্রথম কাজ। ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক নিয়েছি। এটার জন্য সারাবিশ্বে প্রশংসা পেয়েছি। গ্রামের মানুষের কাছে তো স্মার্টফোন নেই তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করবে? তখন পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে এক বছরের মধ্যে ডিজিটাল সেন্টার বানানো হয়েছে। এরপর সরকারি সেবা ডিজিটাল করা শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সরকারি সব সেবা শতভাগ ডিজিটাইজ করা আমাদের লক্ষ্য। এখানেও কোনো বিদেশি সংস্থা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশিরা ভেবেছিল তারা আমাদের ডিজিটাল করতে কী সমস্যা সেসব বলে দেবে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব। কিন্তু আমাদের মেধা আছে। আইটি আমরা জানি, বাংলাদেশকে ডিজিটাইজ আমরাই করেছি। আমরা সমস্যা চিহ্নিত করে নিজেরাই সমাধান করতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইটি ইন্ডাস্ট্রি বানানোর লক্ষ্যে বছরে ৪০/৫০ হাজার নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এখন দেশে ভালো আইটি সেক্টর তৈরি হয়েছে। আমরা নিজেরাই সব করতে পারছি। দেশের ভেতর সরকারি-বেসরকারি খাতে আইটির যেসব কাজ চলছে অধিকাংশ বাংলাদেশি কোম্পানি সেখানে সার্ভিস দিতে পারছে। বিদেশ থেকে কোম্পানি আনতে হচ্ছে না, ডলারও খরচ হচ্ছে না। কোনো দেশ টেকনোলজিতে এত দ্রুত উন্নতি করেনি।’

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ডিজিটাল সেবার অন্যতম ধাপ ক্যাশলেস। আমাদের দেশের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখনও ক্যাশে লেনদেন করে। এখানে ঝুঁকি থাকে। সারাক্ষণ ক্যাশ হাতে রাখা যায় না। দুর্নীতি, সন্ত্রাসে লেনদেন চলে আসে যতক্ষণ ক্যাশ লেনদেন চলে। এজন্য ক্যাশলেস সোসাইটি আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারঅপারেবল লেনদেন প্লাটফর্ম বিনিময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সেবা। এখানে লেনদেন যত বাড়বে তত ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে আমরা এগুতে পারব।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top