তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘২০৪১ সাল নাগাদ ইনকিউবেশন সেন্টারে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে ৫ লাখ তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। গ্রামে বসে মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছেন। মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি গ্রামে বসেই তারা জমির খাজনা, খারিজ, টেক্স, বিল প্রদান করতে পারবেন। যে কাজগুলোতে আগে ৩ মাস সময় লাগতো, তা এখন কয়েক মিনিটেই হয়ে যাচ্ছে।’
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সিংড়া শেরকোল ডিজিটাল সেন্টারের ১৩ বছর পূর্তি ও উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন ডিজিটাল সেন্টারের সেবাটা গ্রাম থেকে শুরু করবেন। তিনি সেই সেবায় একজন ছেলে উদ্যোক্তা এবং একজন মেয়ে উদ্যোক্তাকে বসিয়েছেন। ২০১৩ সালে দেশের সব পৌরসভায় ‘পৌর ডিজিটাল সেন্টার’ ও সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘নগর ডিজিটাল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া, ২০১৮ সালে বিশেষ মানুষদের চাহিদার আলোকে ‘স্পেশালইজড ডিজিটাল সেন্টার’ এবং ২০২৩ সালে গ্রাম পর্যায়ে ‘ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার’-এর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ সারা দেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ সেবা প্রদান করা হবে। এরপর ৫ লাখ তরুণ-তরুণীদের এই ইনকিউবেশন থেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখের বেশি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রাম পর্যায়ে ১ হাজার ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে। ২০ লাখ তরুণকে স্মার্ট স্কিলস প্রদান ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হবে। সারা দেশের সব ডিজিটাল সেন্টারে একটি করে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য ২০২৪ সালের মধ্যে সব উপজেলাতে ‘স্মার্ট’ সিএমএসএমই হাব বাস্তবায়ন করা হবে।
নাটোর জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এ টু আই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভুঞা, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ লুৎফর রুবেল ও মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ। পরে প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার ৪২টি উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্থর ও উদ্ধোধন করেন।